Friday, 16 August 2013

Biography of World best Hacker JONATHAN JOSEPH JAMES

জনাথন জেমস
জন্ম     ১২ ডিসেম্বর, ১৯৮৩
মিয়ামি, দক্ষিণ ফ্লোরিডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু     ১৮ মে, ২০০৮
মিয়ামি, দক্ষিণ ফ্লোরিডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
জাতীয়তা     আমেরিকান
অন্য নাম     কমরেড
যে জন্য পরিচিত     হ্যাকিং




জনাথন জোসেফ জেমস ওরফে কমরেড (জন্ম: ১২ ডিসেম্বর, ১৯৮৩ - মৃত্যু: ১৮ মে, ২০০৮) একজন বিশ্বখ্যাত আমেরিকান হ্যাকার এবং সবচেয়ে কমবয়সী কিশোর যিনি ১৬ বছর বয়সেই সাইবার অপরাধের সাথে লিপ্ত হয়ে জেলে গিয়েছিলেন।দক্ষিণ ফ্লোরিডায় বেড়ে ওঠা জেমেস তার জীবনের প্রথম হ্যাকিং সম্পন্ন করেন ১৫ বছর বয়েসে। তিনি মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে ২০০৮-এর ১৮ মে তারিখে তার বাবার পিস্টল দিয়ে নিজেই নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন।
পরিচ্ছেদসমূহ

    ১ শৈশব
    ২ হ্যাকিং
    ৩ গ্রেপ্তার, দোষী সাব্যস্ত এবং শাস্তি
    ৪ মৃত্যু
    ৫ বহিঃসংযোগ
    ৬ তথ্যসুত্র

শৈশব

তের বছর বয়সে একবার ছেলের কম্পিউটারের নেশা মাত্র ছাড়াচ্ছে দেখে তার কম্পিউটার জব্দ করেন বাবা রবার্ট জেমস। বাড়ি থেকে পালিয়ে যান জন, রাস্তার মোড় থেকে টেলিফোনে হুমকি দেন- আর বাড়ি ফিরবেন না যদি কম্পিউটার ফেরত না দেয়া হয়। মৃত্যুর পর সে ছেলের স্মৃতিচারণ করতে করতে বাবা রবার্ট জেমস বলেন, "'So, yeah, he kind of liked computers."' ।

মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে প্রোগ্রামিং শিখতে শুরু করেন জেমস, জানতেন ইউনিক্স আর সি প্রোগ্রামিং ভাষা। কম্পিউটার ক্লাসের পাশাপাশি অন্তর্জালে ঘুরে ঘুরে শিখতেন তিনি। আর এ বিদ্যার উপর ভর করেই এক বছরের মাথায় হ্যাক করেন নাসা আর প্রতিরক্ষা বিভাগের সাইট। হ্যাকার কমিউনিটিতে তিনি কমরেড জন নামেও বহুল পরিচিত।
হ্যাকিং

১৯৯৯ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ২৭ অক্টবরের মধ্যে জেমস তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে ভাইরাস সম্পর্কে তার চিন্তা শক্তিকে অনেক দূর নিয়ে যান।এমন কি তিনি তখন মাত্র ১৫ বছর বয়সে বেল-সাউথ, মিয়ামি ডেড, আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং নাসার ওয়েব সাইট হ্যাক করেন। এছাড়াও সে ব্যাকডোর কম্পিউটিং এর মাধ্যমে ডালাস এবং ভিরজিনার সার্ভারে একটি স্নিফার ইন্সটল করেন। যার মাধ্যমে তিনি ওই সব স্থানের প্রায় তিন হাজার তথ্য চুরি করেন। যার মধ্যে ছিল ওই এলাকা গুলোর সকল চাকুরীজিবিদের তথ্য এমন কি কমপক্ষে ১০ টি অফিশিয়াল মিলিটারী কম্পিউটারের তথ্য। ফলে জেমসকে জেলেও যেতে হয়।

জেমস নাসার ওয়েব সাইট হ্যাক করে এবং সেখান থেকে প্রায় ১.৭ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমান মূল্যের একটি সফটওয়ার এর সোর্সকোড ডাউনলোড করে। নাসার মতে জেমস যে সফটওয়্যারগুলো চুরি করেছিল সেগুলো দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন নিয়ন্ত্রন করা হয়। জেমস নাসার ওয়েব সাইটে যে ক্ষতি করেছিলো সেটি ঠিক করতে নাসার ওয়েবসাইট তিন সপ্তাহ বন্ধ রাখতে হয়। অপরদিকে এটি ঠিক করতে নাসা কে গুনতে হয় প্রায় আরো লক্ষাধিক ডলার।
গ্রেপ্তার, দোষী সাব্যস্ত এবং শাস্তি

প্রতিরক্ষা দপ্তর, নাসা এবং স্থানীয় পুলিশ থেকে এজেন্টদের একটি দল জানুয়ারী ২৬, ২০০০ তারিখে আনুমানিক সকাল ৬টায় জেমসের বাড়িতে অভিযান চালায়। এরপর ২০০০ সালের অক্টোবর মাসে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। মুক্তির পর তাকে ১৮ বছর বয়স প্রর্যন্ত করা নজরদারিতে রাখা হয় এবং নাসা ও প্রতিরক্ষা দপ্তর এর কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখতে হয়েছিল। এসময় তার কম্পিউটার ব্যবহারের উপরেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
মৃত্যু

২০০৭ সালে টিজেএক্স নামের একটি কোম্পানীর ওয়েব সাইট বেশ বড় একটা হ্যাকিং এর ঘটনা ঘটে। যার ফলে ওই কোম্পানীর অনেক ক্লাইন্টের ব্যাক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যায়। এছাড়াও বস্টন মার্কেট, বার্নেস এয়ান্ড নোবেল, স্পোর্টস অথরিটি, ফরেভার-২১, অফিস ম্যাক্স এবং ডেভ বাস্টার্স সহ আরো কিছু বড় বড় প্রতিষ্ঠানেও একি ধরনের হ্যাকিং এর ঘটনা ঘটে। যদিও জেমস অস্বীকার করেন যে, তিনি এগুলোর সঙ্গে জড়িত নন, তবুও তাকে বিভিন্ন তদন্তের সম্মুখীন হতে হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের তদন্তের মাধ্যমে দেখেন যে এই ঘটনাতে জে,জে, নামে অন্য একজন জড়িত। নামের সাথে মিলে যাওয়াতে জেমস তাদের প্রধান লক্ষ্যতে পরিনত হন। এরপর ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল জেমস এর মৃত দেহ তার বাথরুমে পাওয়া যায়। সে তার বাবার পিস্টল দিয়ে নিজেই নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করে। হ্যাকিং করার এই ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার আর কোন উপায় না পেয়ে সে আত্মহত্যা করে এবং মৃত্যুর অগে এই নোট রেখে যান,
“     I honestly, honestly had nothing to do with TJX,I have no faith in the 'justice' system. Perhaps my actions today, and this letter, will send a stronger message to the public. Either way, I have lost control over this situation, and this is my only way to regain control.

No comments:

Post a Comment